Thursday, July 7, 2011

NAO / Tapaskumar Layek

নাও 

তাপস কুমার লায়েক

by Mitul Dutta on Tuesday, July 5, 2011 at 1:57pm
২.
এ বাড়ি আমার। তবু, এ ঠিক আমার বাড়ি নয়।
কত সহজেই লেখা এসব সরলরেখা তোমার মাথায় ঢুকে পড়ে।
যেমন সিঁদুর দূরে দিগন্ত নামায়, দূরে জল ও আকাশ
আশ্চর্য সম্পর্ক। এক ছাড়া ছাড়া ভালোবাসা, লোক দেখানোর
সমগ্র বৃষ্টির ধারা আমার এই আজীবন পর হয়ে থাকা
সে এক সরলবাক্য ক্রমশ জটিল জামাকাপড়...

তোমার কাছেই আমি কল্পনাপ্রবণ হাতেখড়ি

৪.
যে কোনো কারণে হোক শুয়ে আছি এখানে ওপারে
দূরের আকাশ জ্বলে পুড়ে যায় সন্ধ্যাতারা সব
শব যদি ছুঁয়ে যাবি এ ছাই লেখার মানে নেই
অতিবাস্তবের দেশে আমি এক সংকীর্ণতা খালি
শরীর চেয়েছি বলে কথা বলা হল না আমার
স্নায়ুর অক্ষম দেশ তোমার আঁচলে মৃদু কাচ
যেটুকু ঠেকায় তার দাবি মুছে দেওয়া রক্তপাত
সম্পূর্ণ পোশাকে ঢাকো দুটি চোখ ইশারা ইঙ্গিত
সমস্ত ফিরিয়ে নেওয়া চালু হোক যে আমার ছায়াতে প্রবাস
নিজের বিছানা ছাড়া ছুঁতে ভালো লাগেনা তোমায়

৬.
এভাবে ওভাবে সবভাবে ভাবে আগুনের পাশে
রেখেছি নির্বাক অস্থি সে যদি আবার কথা বলে
যদি সে এবার আরো গাঢ়তম বিষাদের চাপে
আলপনা এঁকেছে তাকে নির্দ্বিধায় বিস্মৃত অঞ্চলে
আবার বসানো যায় এভাবে ওভাবে কাটাছেঁড়া সন্দেহে
সংশয় পেরোনো স্তব্ধ মধ্যরাত্রি ঘুমের প্রলেপে
যেটুকু বলার যদি রাখা থাকে ক্ষোভে বা প্রক্ষোভে
যে পথ তোমাকে শাখা নদীর কিনারে ডাকা তোকে
জড়ানো ভুলের থেকে যদি আরো শ্রুতিময় লোহিতকণায়
দেহমজ্জা স্মৃতিকোষে শুধু তার তারই কথা উপস্থাপনায়
আমার অজস্র ভুল শুরু হয়, হোক, এই প্রবাহের ধারে
একান্ত তোমাকে নাও ভাসিয়েছিলাম নাও
                             যে যেভাবে যেরকম পারে

১১.
ও স্পর্শকাতর তুমি রাধাচূড়া এখানের পথে
অভিসার লিখেছ নীল ধূসর আলোর মায়াখেলা
প্রেমিক প্রেমিকা যারা দুপুর মানে না কালক্রমে
বিষণ্ণ দাম্পত্যে একা কত শূন্য ফাঁকা নিয়ে থাকে
সেসব বলেছ তুমি হতাশায় দাগ কাটা নখে
সমুদ্র ঝিনুক বালি অতর্কিত পায়ের তলায়
ছড়ায় সন্ত্রাস ঝাউ হলুদের তীব্র মনভাঙা
সূর্যাস্তের দিকে কিছু রাজহাঁস আমাদের একলা ফেলে যায়
ও স্পর্শকাতর আমি কৃষ্ণোত্তর জীবন পেরোই

১৮.
ক্রমশঃ নিস্তব্ধ এক অরণ্যের সীমানায় আমি
বোঝাতে চেয়েছি সব পুড়ে যাওয়া সনাক্তকরণ
আকাশের পথে পথে যে অনন্ত গোধূলিগঙ্গায়
তোমার অসীমে সন্ধ্যাতারা ছায়া ঝলক উড়ান
যে প্রবেশ দেয় সেই বাসা হয়ে থেকেছে মরণ।