তোমার জন্য আবার সন্ধ্যার কবিতা
তুহিন দাস
ঘোর সন্ধ্যাগুলো কোত্থেকে আসে দূর অস্তপারে?
চুপিচুপি ঘুরে ঘুরে ছুঁয়ে দেয় বহুতল বাড়ির কারুকাজ,সন্ধ্যা কেনো সুখটুকু ছুঁড়ে ফেলে দুঃখ ভালোবাসে?
এই শোনো, সন্ধ্যার মধ্যে কেবলি গুমড়ে একটি নদী।
ফেলে রাখা পোষাকের একাকীত্বে শীতসন্ধ্যা হিম হয়ে আসে,
সন্ধ্যাকে আজ মরে যাওয়া দিনের আলো মনে হয়;
সন্ধ্যাস্নাত একটি দগ্ধমুখ, খুচরো হাসির ধ্বনি ও গান,
এইসব টুকরো টুকরো ছবি ও কথা আমি লিখতেই পারি!
আচ্ছা, তাহলে স্বপ্ন বাঁচিয়ে সন্ধ্যাপ্রসঙ্গে তোমার মতোই বলি,
‘সন্ধ্যা কি হলো আবার?’, সন্ধ্যার কোনো মানচিত্র নেই,
অন্ধকারের পাদদেশ থেকে আরো অন্ধকারের দিকে যেতে
পাথরমুখো সন্ধ্যা জেগে ওঠে রাত্রির প্রণয়আখ্যানে।
অফিস থেকে ফিরে পাঠালে আমাকে সে সন্ধার কাছে,
সদর রাস্তায় হেঁটে হেঁটে দেখে এলাম সন্ধ্যার ভেতর
আটকে পড়া ক্লান্ত মানুষ আর সারাদিনের না বলা কথারা
হয়ে উঠছে বিষণ্ন মেঘের মুখ।
ওহে, সন্ধ্যা হলো কি আবার?