Pages

Friday, September 23, 2011

Tuesday, September 20, 2011

SUMMER PACAGE / Suman Dharasharma

সামার প্যাকেজ

সুমন ধারা শর্মা

 
রোগগ্রস্ত শিশু, হতদরিদ্র ভিখিরির দল
শুক্রাণুসৃষ্ট অনুশীলনের পর
পায়ে পায়ে হেঁটে যাবে, না চার্চ নয়,
ভাগাড়ের দিকে সপ্তাহের শেষদিনে।
বৃহস্পতিবার যেসব বস্তি জ্বালানো হয়েছে
তাদের বাসিন্দাদের জন্য আজ নিরামিষ খিচুড়ি বিতরণ।

তাপ্পি দেওয়া প্যান্ট, উলুখাগড়া ও ছেঁড়া কামিজ,
রংচটা জুটের বস্তা, গণতান্ত্রিক শীতে চুপ থাকার রহস্য।
সস্তা রাজনৈতিক পতাকা গুঁজে দিল ত্রাণের মধ্যে
অবসাদের নিত্যনৈমিত্তিক সঙ্গীত,
যা বিটোভেন বা বাখ্-সৃষ্ট নয়

অজস্র ধন্যবাদের সঙ্গে কফিন
আমিষ শিশুর সত্তা ও অবভাস
ক্যাম্বিসের জুতো ছুঁয়ে পড়ে থাকা বলের মতো গুবলেট।
উপেক্ষাপূর্বক যারা পায়ে পায়ে হেঁটে যাবে,
না, উপনির্বাচন বা সেরিব্রাল নয়,
ভাগাড়ের দিকে
তাদের জন্য আজ পুনর্বাসনের অ্যাপ্লিকেশনে রাজনৈতিক তদ্বির

সমস্ত দহনের পর বিলি বন্দোবস্তের লাইনে
মানচিত্র আঁকা যায়। মানুষের মাথাগুলো গোনা যায়
যত্রতত্র─যার মধ্যে বেশকিছু কুকুরের মাথা
ঢুকে পড়ে আর বেরিয়ে আসে
ত্রাণের কম্বলের মধ্য থেকে

POUTTOLIK : 16 / Goutam Choudhury

গৌতম চৌধুরী
পৌত্তলিক:১৬

অজ্ঞাতবাসের দিন শেষ হল, এবার ফেরাও তোমাদের সুন্দরের দেশে
জামাকাপড়ের রং জ্বলে গেছে চুলে জট চোখে চশমা নেই
ভাতের গন্ধের মতো জ্যোৎস্নায় একদিন তবু তোমাদের মেয়েদের সাথে
কত খেলে গেছি আমি ভালোবেসে তোমাদের ছেলেদের সাথে
দেখেছি লোভের মতো ফুলে ওঠে পাথরের ইস্পাতের কাঠের বেলুন
ফেটে গ্যাছে পশ্চিমের বালুচরে রক্তে লাল হোগলার বনে
শুনেছি ঈশানী মাঠে তিনচক্ষু ভূতের বেহালা কীভাবে খেয়েছে চেটে রাখালের শাঁস
প্রেমের শস্যের গাঢ় ব্রতকথা ছিন্ন কোরে উঠোনে পড়েছে এসে কবন্ধের বমি
আমি সেই আলো আঁধারির মতো ক্ষমাহীন পরিচর্যাহীন সুন্দরকে বুঝিনি
তাই তার খোঁজে গেছি সমুদ্রঝাউয়ের হাহা শূন্যতার কাছে
ভূগর্ভমেঘের কালো উচ্ছ্বাসের ফেনার মুকুটে ভাসিয়ে দিয়েছি প্রশ্ন
আর সেই কালো ঊর্মি হিংস্র উত্তরের মতো আমাকে ফিরিয়ে দিল ছুঁড়ে
আবার মাটির দিকে যেখানে আগুন জ্বলে, মাটির হাঁড়িতে ভাত ফোটে

Sunday, September 18, 2011

Saturday, September 17, 2011

BANSHIOYALA / Sukumar Choudhury

বাঁশীওয়ালা 

~ সুকুমার চৌধুরী


একজন বাঁশীওয়ালাকে জানতাম । প্রকাশ দাস ।
আজকে দোলের দিন, চলে গেলেন । বড়ো সুন্দর
বাঁশী বাজাতেন । খননের রবিঠাকুর উৎসবে কতবার.......
খুঁজে খুঁজে আমার সীমান্ত বাড়িতে
এসেছিলেন একবার, মনে পড়ে ।

রণজিৎ  ফোন করেছিল শ্মশান থেকে ।তখন সব
শেষ । রাস্তায় পুলিশী বন্দোবস্ত । আজ হোলী ।

অনেক রকমের রঙ আনা হোয়েছিল এবার । তোমার
জন্য । তার জন্য । সবার জন্য । সবার প্রিয় রঙ ।

অথচ খেলা সে রকম হোলো কই বদলে
মনোজের কাঁসার গেলাসে
চনমনে ভাঙ্গ খেয়ে বুঁদ হওয়া গেল বেশ
বিদর্ভের গরম দুপুরে............

'MAHABHARAT' SALOON-E / Sukumar Choudhury

‘মহাভারত’ সেলুনে
~ সুকুমার চৌধুরী

‘মহাভারত’ সেলুনে বাইক খাড়িয়ে অল্প অবসর মেলে
কেননা প্রতীক্ষা......... ভীড়.............অল্প লাইন,
দেখি ‘ভীমদূত’ অটোখানি বাইরে দাঁড়িয়ে আর
অটোবালা বসে আছে বনিয়ান খুলে ।  নরসুন্দরবাবু সুগন্ধি
ছিটিয়ে তার ঘেমোমুখে ফেশিয়াল সারে.................

যারা প্রতিটি নিমেষ জুড়ে কাজ করে, ব্যস্ত আর যুযুধান
তারা এ রকম চুর্ণ অবসরে কি করে ?  কি জানি ?
আমি নোঙরা আর এলোমেলো রগরগে মারাঠী ইভনিঙ্গারগুলি
                                                  পড়ার চেষ্টা করি ।
মল্লিকা ও বিপাশার মুখোমুখি অর্ধনগ্ন দুটি ছবি,
বিপাশাকেই বেশী আবেদনময়ী লাগে, সে কি বাঙালী বলেই ! যাঃ
শেষে কি আমিও বায়াসড হোয়ে পড়লাম । কি আর করা যাবে,
এখনো একটা দাড়ি.................... অতঃপর
মোবাইল নিয়ে পড়ি । কত যে মেসেজ ছাই জমা হয়ে আছে ।
একে একে খুলি, যেন পাখি, আর উড়িয়ে দিই । শেষে
ওড়াতে ওড়াতে কিছু মিষ্টিক মেসেজ খুঁজে পাই । নিশ্চিত
আমার নয় । অন্য কেউ সন্তর্পনে ব্যবহার কোরে গেছে
ঠিক । ভুলে গেছে ডিলিট দাবাতে । মজা করে উত্তর দিয়ে
ফেলি । অবসর সময়ে বুঝি মানুষেরা ভালবাসে এমন লঘুতা ।
তুরন্ত জবাব আসে বিন্দাস বারাডীতে........
কিন্তু আর এগুনো যায় না,  নরসুন্দরবাবু ডাকে.......

BARI / Aritra Sanyal

অরিত্র সান্যাল
বাড়ি


ঘনরাতে বাড়ির ভিতর থেকে জেগে ওঠে
বাড়ির মহাত্মা, যা-ই হোক
সেও তো প্রকারে ভূত – তাকে ভয় পাই…
সুতরাং শিরশির করে ওঠে বিপন্ন ঘাড়,
সব আলো নিভে গেলে পথের নাছোড় প্রভা
ঘরে আসে
মনে হয় ছায়ায় ছায়ায় কোনোদিন সত্যিই বিবাগী হব
উত্যক্ত ইঙ্গিতে
তার আগে কেটে যাক অতৃপ্ত মায়া
শুয়ে আছি, হঠাৎ আলগা বিরাট ছায়া বেড়ে ওঠে
চৌহদ্দি জুড়ে –
মনে হয় আগের পুরুষ অথবা তারও-পুরুষ
সান্দ্র, বিশাল তার গভীর অন্ধ নিয়ে
তাকায় এদিকে…
দু-বাহুর মাঝখানে আমার স্থানটি পাকা
শ্রদ্ধা করি, ভয় করি
ছেঁড়া ফুটো মলিন শ্রাদ্ধ পেতে রেখেছি একাকী
নিখুঁত বাণিজ্যে তাকে রক্ষা করে গেছি এতকাল
আমাকে রক্ষা করে ঈশ্বরের রাতটি কাটে
তুমুল পাঞ্জা কষে কেটে যায় পুরোনো সকাল

Thursday, September 15, 2011

KNACH / Paramita Chanda

পারমিতা চন্দ
কাঁচ

ইচ্ছেময় ভাবনাগুলো যেন কাঁচপোকা
কাঁচপোকা ইদানীং খুব ভারাক্রান্ত
কাঁচঘরে কাঁচমেয়ের গায়ে অসংখ্য কাঁচপোকা রকমারি রূপে
কেউ টিপ, কেউ দুল, কেউ বাজুবন্ধ হয়ে
কাঁচমেয়ে প্রতীক্ষায়, বহুকাঙ্ক্ষিত পুরুষ হিরা আজ বুঝি এল
কাঁচপোকার দল ভাবে কিসের সাক্ষী হবে তারা

সঙ্গম না খননের?

KANYAKUMARI / Bishnu Biswas

বিষ্ণু বিশ্বাস
কন্যাকুমারী

তুমি
দাঁড়িয়েছিলে
উত্তাল সমুদ্রঢেউয়ের পারে
খণ্ডিত পাথরস্তম্ভে...
অন্ধকার।
তোমার চুল উড়ে যাচ্ছে, নারকেল পাতার মতো চিরল,
চোখ মুদে আছে
বাতাসের অকরুণ ধ্যানে... তুমি
বিস্ময়কর!
উত্তাল সমুদ্রঢেউয়ের পারে
খণ্ডিত পাথরস্তম্ভে...
দৃশ্যমান।

Wednesday, September 14, 2011

Tuesday, September 13, 2011

Saturday, September 3, 2011

MUKTAGACHHAR MAHARAJA BROJENDROKISHOR / Shankhapallab aditya

মুক্তাগাছার মহারাজা ব্রজেন্দ্রকিশোর
শঙ্খপল্লব আদিত্য

আজকাল নববিবাহিত যুবকেরাও পূর্ণিমার জ্যোৎস্না লুঠ করে কোনও রমণীর
কাছে বেশি দামে বিক্রি করে না, চনমনে ঘোড়াগুলিরও নেই সেরকম জিন ও সহিস
জ্যোৎস্না লুঠের পয়সায় নেশা করে হাওড়ার পাণ্ডুর চাঁদ ও চাঁদপুরের ইলিশ
কিনে অযথা বউকে জাগায় কজন উজ্জ্বল যুবক?
গভীর রাতে মৌরির গজলবাগানেও নেই কিশোরগঞ্জের পোড়ো বুকে সাপের হিসহিস
মানচিত্রের ছকের একচুল বাইরেও কোনও পা নেই, এরই মাঝে কেউ ধার্মিক কেউ বক
নীলব্রহ্মমণি প্রহরীর কমলদরিয়ায় গহরপাটা নিয়ে কেউ হাঁটাহাঁটিও করে না আজ
নিজেই নিজের সীমাবদ্ধ মুক্তাগাছায় স্বঘোষিত ব্রজেন্দ্রকিশোর মহারাজ
মানুষের সাহস কেবল কমে আসছে, ছোটো হয়ে আসছে ইড়া ও পিঙ্গলা এবং রক্তকোষ
কিন্তু কিছুতেই অহংকারী বোতলের ফেনার নির্বিষ 'ফোঁস' কমছে না।

Thursday, September 1, 2011

JOLER BHETORE DUB / Tapan Bagchi


জলের ভেতরে ডুব
[কবি অরুণেশ ঘোষ, স্মরণীয়েষু]
 তপন বাগচী

তুমি ভিড়েছিলে একাকী নিজের মতে
তুমি গেয়েছিলে গুহা মানুষের গান
তুমি শুঁকেছিলে বাতাসপোড়ানো ঘ্রাণ
তুমি হেঁটেছিলে কুচবিহারের পথে

নাম লেখা ছিল হাংরি জেনারেশনে
অন্তর জুড়ে অধরার অনুভব
জলের ভেতরে ডুব দিলে আনমনে
সন্ন্যাসী কবি শ্মশানের পথে শব

মেঘে মেঘে বেলা সত্তর হলো জানি
শেষ হলো বুঝি জীবনের জার্নাল
বাতাসেরা আজ করে শুধু কানাকানি
কবিতার মুখে যায় কেটে সুরতাল।

কবি থেমে যায় থামে না শব্দখেলা
কবিতার পথে তাই হাঁটি সারাবেলা।

 
দৈনিক মুক্তলিপি, কোচবিহার, ভারত, ০১.০৯.২০১১