Pages
▼
Friday, October 21, 2011
Saturday, October 8, 2011
Thursday, October 6, 2011
Friday, September 23, 2011
Tuesday, September 20, 2011
SUMMER PACAGE / Suman Dharasharma
সামার প্যাকেজ
সুমন ধারা শর্মা
রোগগ্রস্ত শিশু, হতদরিদ্র ভিখিরির দল
শুক্রাণুসৃষ্ট অনুশীলনের পর
পায়ে পায়ে হেঁটে যাবে, না চার্চ নয়,
ভাগাড়ের দিকে সপ্তাহের শেষদিনে।
বৃহস্পতিবার যেসব বস্তি জ্বালানো হয়েছে
তাদের বাসিন্দাদের জন্য আজ নিরামিষ খিচুড়ি বিতরণ।
তাপ্পি দেওয়া প্যান্ট, উলুখাগড়া ও ছেঁড়া কামিজ,
রংচটা জুটের বস্তা, গণতান্ত্রিক শীতে চুপ থাকার রহস্য।
সস্তা রাজনৈতিক পতাকা গুঁজে দিল ত্রাণের মধ্যে
অবসাদের নিত্যনৈমিত্তিক সঙ্গীত,
যা বিটোভেন বা বাখ্-সৃষ্ট নয়
অজস্র ধন্যবাদের সঙ্গে কফিন
আমিষ শিশুর সত্তা ও অবভাস
ক্যাম্বিসের জুতো ছুঁয়ে পড়ে থাকা বলের মতো গুবলেট।
উপেক্ষাপূর্বক যারা পায়ে পায়ে হেঁটে যাবে,
না, উপনির্বাচন বা সেরিব্রাল নয়,
ভাগাড়ের দিকে
তাদের জন্য আজ পুনর্বাসনের অ্যাপ্লিকেশনে রাজনৈতিক তদ্বির
সমস্ত দহনের পর বিলি বন্দোবস্তের লাইনে
মানচিত্র আঁকা যায়। মানুষের মাথাগুলো গোনা যায়
যত্রতত্র─যার মধ্যে বেশকিছু কুকুরের মাথা
ঢুকে পড়ে আর বেরিয়ে আসে
ত্রাণের কম্বলের মধ্য থেকে
শুক্রাণুসৃষ্ট অনুশীলনের পর
পায়ে পায়ে হেঁটে যাবে, না চার্চ নয়,
ভাগাড়ের দিকে সপ্তাহের শেষদিনে।
বৃহস্পতিবার যেসব বস্তি জ্বালানো হয়েছে
তাদের বাসিন্দাদের জন্য আজ নিরামিষ খিচুড়ি বিতরণ।
তাপ্পি দেওয়া প্যান্ট, উলুখাগড়া ও ছেঁড়া কামিজ,
রংচটা জুটের বস্তা, গণতান্ত্রিক শীতে চুপ থাকার রহস্য।
সস্তা রাজনৈতিক পতাকা গুঁজে দিল ত্রাণের মধ্যে
অবসাদের নিত্যনৈমিত্তিক সঙ্গীত,
যা বিটোভেন বা বাখ্-সৃষ্ট নয়
অজস্র ধন্যবাদের সঙ্গে কফিন
আমিষ শিশুর সত্তা ও অবভাস
ক্যাম্বিসের জুতো ছুঁয়ে পড়ে থাকা বলের মতো গুবলেট।
উপেক্ষাপূর্বক যারা পায়ে পায়ে হেঁটে যাবে,
না, উপনির্বাচন বা সেরিব্রাল নয়,
ভাগাড়ের দিকে
তাদের জন্য আজ পুনর্বাসনের অ্যাপ্লিকেশনে রাজনৈতিক তদ্বির
সমস্ত দহনের পর বিলি বন্দোবস্তের লাইনে
মানচিত্র আঁকা যায়। মানুষের মাথাগুলো গোনা যায়
যত্রতত্র─যার মধ্যে বেশকিছু কুকুরের মাথা
ঢুকে পড়ে আর বেরিয়ে আসে
ত্রাণের কম্বলের মধ্য থেকে
POUTTOLIK : 16 / Goutam Choudhury
গৌতম চৌধুরী
পৌত্তলিক:১৬
অজ্ঞাতবাসের দিন শেষ হল, এবার ফেরাও তোমাদের সুন্দরের দেশে
জামাকাপড়ের রং জ্বলে গেছে চুলে জট চোখে চশমা নেই
ভাতের গন্ধের মতো জ্যোৎস্নায় একদিন তবু তোমাদের মেয়েদের সাথে
কত খেলে গেছি আমি ভালোবেসে তোমাদের ছেলেদের সাথে
দেখেছি লোভের মতো ফুলে ওঠে পাথরের ইস্পাতের কাঠের বেলুন
ফেটে গ্যাছে পশ্চিমের বালুচরে রক্তে লাল হোগলার বনে
শুনেছি ঈশানী মাঠে তিনচক্ষু ভূতের বেহালা কীভাবে খেয়েছে চেটে রাখালের শাঁস
প্রেমের শস্যের গাঢ় ব্রতকথা ছিন্ন কোরে উঠোনে পড়েছে এসে কবন্ধের বমি
আমি সেই আলো আঁধারির মতো ক্ষমাহীন পরিচর্যাহীন সুন্দরকে বুঝিনি
তাই তার খোঁজে গেছি সমুদ্রঝাউয়ের হাহা শূন্যতার কাছে
ভূগর্ভমেঘের কালো উচ্ছ্বাসের ফেনার মুকুটে ভাসিয়ে দিয়েছি প্রশ্ন
আর সেই কালো ঊর্মি হিংস্র উত্তরের মতো আমাকে ফিরিয়ে দিল ছুঁড়ে
আবার মাটির দিকে যেখানে আগুন জ্বলে, মাটির হাঁড়িতে ভাত ফোটে
পৌত্তলিক:১৬
অজ্ঞাতবাসের দিন শেষ হল, এবার ফেরাও তোমাদের সুন্দরের দেশে
জামাকাপড়ের রং জ্বলে গেছে চুলে জট চোখে চশমা নেই
ভাতের গন্ধের মতো জ্যোৎস্নায় একদিন তবু তোমাদের মেয়েদের সাথে
কত খেলে গেছি আমি ভালোবেসে তোমাদের ছেলেদের সাথে
দেখেছি লোভের মতো ফুলে ওঠে পাথরের ইস্পাতের কাঠের বেলুন
ফেটে গ্যাছে পশ্চিমের বালুচরে রক্তে লাল হোগলার বনে
শুনেছি ঈশানী মাঠে তিনচক্ষু ভূতের বেহালা কীভাবে খেয়েছে চেটে রাখালের শাঁস
প্রেমের শস্যের গাঢ় ব্রতকথা ছিন্ন কোরে উঠোনে পড়েছে এসে কবন্ধের বমি
আমি সেই আলো আঁধারির মতো ক্ষমাহীন পরিচর্যাহীন সুন্দরকে বুঝিনি
তাই তার খোঁজে গেছি সমুদ্রঝাউয়ের হাহা শূন্যতার কাছে
ভূগর্ভমেঘের কালো উচ্ছ্বাসের ফেনার মুকুটে ভাসিয়ে দিয়েছি প্রশ্ন
আর সেই কালো ঊর্মি হিংস্র উত্তরের মতো আমাকে ফিরিয়ে দিল ছুঁড়ে
আবার মাটির দিকে যেখানে আগুন জ্বলে, মাটির হাঁড়িতে ভাত ফোটে
Sunday, September 18, 2011
Saturday, September 17, 2011
BANSHIOYALA / Sukumar Choudhury
বাঁশীওয়ালা
~ সুকুমার চৌধুরী
একজন বাঁশীওয়ালাকে জানতাম । প্রকাশ দাস ।
আজকে দোলের দিন, চলে গেলেন । বড়ো সুন্দর
বাঁশী বাজাতেন । খননের রবিঠাকুর উৎসবে কতবার.......
খুঁজে খুঁজে আমার সীমান্ত বাড়িতে
এসেছিলেন একবার, মনে পড়ে ।
রণজিৎ ফোন করেছিল শ্মশান থেকে ।তখন সব
শেষ । রাস্তায় পুলিশী বন্দোবস্ত । আজ হোলী ।
অনেক রকমের রঙ আনা হোয়েছিল এবার । তোমার
জন্য । তার জন্য । সবার জন্য । সবার প্রিয় রঙ ।
অথচ খেলা সে রকম হোলো কই বদলে
মনোজের কাঁসার গেলাসে
চনমনে ভাঙ্গ খেয়ে বুঁদ হওয়া গেল বেশ
বিদর্ভের গরম দুপুরে............
আজকে দোলের দিন, চলে গেলেন । বড়ো সুন্দর
বাঁশী বাজাতেন । খননের রবিঠাকুর উৎসবে কতবার.......
খুঁজে খুঁজে আমার সীমান্ত বাড়িতে
এসেছিলেন একবার, মনে পড়ে ।
রণজিৎ ফোন করেছিল শ্মশান থেকে ।তখন সব
শেষ । রাস্তায় পুলিশী বন্দোবস্ত । আজ হোলী ।
অনেক রকমের রঙ আনা হোয়েছিল এবার । তোমার
জন্য । তার জন্য । সবার জন্য । সবার প্রিয় রঙ ।
অথচ খেলা সে রকম হোলো কই বদলে
মনোজের কাঁসার গেলাসে
চনমনে ভাঙ্গ খেয়ে বুঁদ হওয়া গেল বেশ
বিদর্ভের গরম দুপুরে............
'MAHABHARAT' SALOON-E / Sukumar Choudhury
‘মহাভারত’ সেলুনে
~ সুকুমার চৌধুরী
‘মহাভারত’ সেলুনে বাইক খাড়িয়ে অল্প অবসর মেলে
কেননা প্রতীক্ষা......... ভীড়.............অল্প লাইন,
দেখি ‘ভীমদূত’ অটোখানি বাইরে দাঁড়িয়ে আর
অটোবালা বসে আছে বনিয়ান খুলে । নরসুন্দরবাবু সুগন্ধি
ছিটিয়ে তার ঘেমোমুখে ফেশিয়াল সারে.................
যারা প্রতিটি নিমেষ জুড়ে কাজ করে, ব্যস্ত আর যুযুধান
তারা এ রকম চুর্ণ অবসরে কি করে ? কি জানি ?
আমি নোঙরা আর এলোমেলো রগরগে মারাঠী ইভনিঙ্গারগুলি
পড়ার চেষ্টা করি ।
মল্লিকা ও বিপাশার মুখোমুখি অর্ধনগ্ন দুটি ছবি,
বিপাশাকেই বেশী আবেদনময়ী লাগে, সে কি বাঙালী বলেই ! যাঃ
শেষে কি আমিও বায়াসড হোয়ে পড়লাম । কি আর করা যাবে,
এখনো একটা দাড়ি.................... অতঃপর
মোবাইল নিয়ে পড়ি । কত যে মেসেজ ছাই জমা হয়ে আছে ।
একে একে খুলি, যেন পাখি, আর উড়িয়ে দিই । শেষে
ওড়াতে ওড়াতে কিছু মিষ্টিক মেসেজ খুঁজে পাই । নিশ্চিত
আমার নয় । অন্য কেউ সন্তর্পনে ব্যবহার কোরে গেছে
ঠিক । ভুলে গেছে ডিলিট দাবাতে । মজা করে উত্তর দিয়ে
ফেলি । অবসর সময়ে বুঝি মানুষেরা ভালবাসে এমন লঘুতা ।
তুরন্ত জবাব আসে বিন্দাস বারাডীতে........
কিন্তু আর এগুনো যায় না, নরসুন্দরবাবু ডাকে.......
~ সুকুমার চৌধুরী
‘মহাভারত’ সেলুনে বাইক খাড়িয়ে অল্প অবসর মেলে
কেননা প্রতীক্ষা......... ভীড়.............অল্প লাইন,
দেখি ‘ভীমদূত’ অটোখানি বাইরে দাঁড়িয়ে আর
অটোবালা বসে আছে বনিয়ান খুলে । নরসুন্দরবাবু সুগন্ধি
ছিটিয়ে তার ঘেমোমুখে ফেশিয়াল সারে.................
যারা প্রতিটি নিমেষ জুড়ে কাজ করে, ব্যস্ত আর যুযুধান
তারা এ রকম চুর্ণ অবসরে কি করে ? কি জানি ?
আমি নোঙরা আর এলোমেলো রগরগে মারাঠী ইভনিঙ্গারগুলি
পড়ার চেষ্টা করি ।
মল্লিকা ও বিপাশার মুখোমুখি অর্ধনগ্ন দুটি ছবি,
বিপাশাকেই বেশী আবেদনময়ী লাগে, সে কি বাঙালী বলেই ! যাঃ
শেষে কি আমিও বায়াসড হোয়ে পড়লাম । কি আর করা যাবে,
এখনো একটা দাড়ি.................... অতঃপর
মোবাইল নিয়ে পড়ি । কত যে মেসেজ ছাই জমা হয়ে আছে ।
একে একে খুলি, যেন পাখি, আর উড়িয়ে দিই । শেষে
ওড়াতে ওড়াতে কিছু মিষ্টিক মেসেজ খুঁজে পাই । নিশ্চিত
আমার নয় । অন্য কেউ সন্তর্পনে ব্যবহার কোরে গেছে
ঠিক । ভুলে গেছে ডিলিট দাবাতে । মজা করে উত্তর দিয়ে
ফেলি । অবসর সময়ে বুঝি মানুষেরা ভালবাসে এমন লঘুতা ।
তুরন্ত জবাব আসে বিন্দাস বারাডীতে........
কিন্তু আর এগুনো যায় না, নরসুন্দরবাবু ডাকে.......