বিশ্বজিৎ পণ্ডা
স্বপ্নাদেশ
স্বপ্নাদেশ
কোনও ক্ষোভ ছাড়াই যে মৃত্যুকে বরণ করে, শুধু তাকেই সঙ্গে নেবে। সোজা-সরল বা চালাক, দু- ধরনের মানুষই ঘৃণ্য। বাড়ি ফেরার পথে গাছ চিনে রাখবে। সাপের ডাক শুনলে আগুন সাক্ষী রেখে প্রণাম করবে। কারুর ঘুম ভাঙাবে না। জলে ডুববে প্রচুর শ্বাস নিয়ে। পিছন ফিরে তাকেবে না। পেছন থেকে কাউকে ডাকবেও না। এ জগতে গোপনীয় কিচ্ছু নেই, এক বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া। বোবারও শত্রু আছে। উত্তর দিকে মাথা করে শোবে না। জানালার দিকে পেছন ফিরে জুয়ো খেলতে বসবে না। যেখানেই থাক, পুব দিকটা মনে রাখবে। জলে কারুর নাম লিখবে না। যাকে মনে করতে চাও বা ভুলতে চাও, দক্ষিণের বাতাসকে তার নাম বলবে বারবার তিনবার। মচকাবে কিন্তু ভাঙবে না। যে ঘরের সামনে নিমগাছ আছে, সেখানেই রাত কাটাবে, ছাতা মাথায় চাষ করবে না, টাকায় নিজের নাম লিখবে না। নক্ষত্র অন্ধকার দূর করে না, তবু তাদের অকপটে বলবে, কোত্থেকে আসছ, কোথায় যাবে। শবানুগমন শুভ। দিনান্তে কাক ডাকলে বুঝবে, অর্থাগম ও নিকট আত্মীয় বিয়োগ আছে। মাছের মাথায় আগে পচন ধরে। সংখ্যাকে বিশ্বাস করবে না। এই সরকারকেও বিশ্বাস করবে না। নিজেই দেশ ছেড়ে যাবে না। চন্দ্রের চারদিকে বলয় দেখলে জানবে, দেশে দুর্দিন আসছে। তোমার সঙ্গে আগুনের সম্পর্ক মনে রাখবে এবং আগুনের অপূর্ব ব্যবহারও মনে রাখবে। বৃষ্টি দিয়ে সময়ের হিসেব করবে। অনশন প্রত্যাহার করবে না। অপেক্ষা করবে। তারপরও অপেক্ষা করবে। রাস্তায় যে কুকুর তোমার পিছু নিয়েছে, তাঁকে কখনো ত্যাগ করবে না।